আট এ অষ্টবসু
আট এ অষ্টবসু |
আপনারা হয়তো ছোটবেলায় পড়েছেন ১ এ চন্দ্র, ২ এ পক্ষ, ৩ এ নেত্র......
ছোটবেলায় যদিও সবাই না বুঝেই সেই জিনিসগুলো মুখস্ত করে থাকে, আমিও করেছিলাম । কিন্তু কখনো কি চিন্তা করেছেন এই ছড়ার পিছনে আসলে কি রয়েছে ? যদি কখনো না ভেবে থাকেন তবে আসুন একবার সবাই মিলে ভেবে বোঝার চেষ্টা করি ও যাদের এ বিষয়ে কোনো চিন্তাভাবনাই মাথায় আসেনি তাদেরকে একটু জিজ্ঞেসা করে দেখি ।
CLICK HERE FOR MOST IMPORTANT DIOMS AND PHRASES
চলুন একসাথে পড়ি:-
১ এ চন্দ্র অর্থাৎ একটি চাঁদ ।
কোনো ছোট্ট শিশুকে রাতের আকাশের চাঁদমামা দেখিয়ে সহজেই এক এ চন্দ্র বুঝিয়ে ফেলা সম্ভব ।
২ এ পক্ষ অর্থাৎ দুটি পক্ষ । এই দুটি পক্ষ হলো শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ ।
অমাবশ্যার পরদিন থেকে চাঁদের আকার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং অবশেষে পৌঁছায় পূর্ণিমাতে, আই অমাবশ্যার পরদিন থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় শুক্লপক্ষ। হিন্দু ধর্ম মতে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা হয়ে থাকে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে।
আবার পূর্ণিমার পরদিন থেকে চাঁদের আকার ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে এবং অবশেষে পৌঁছায় অমাবস্যায়, এই পূর্ণিমার পরদিন থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় কৃষ্ণপক্ষ।
৩ এ নেত্র অর্থাৎ তিনটি চোখ।
উপরের দুটি ক্ষেত্রে পরিষ্কার বোঝা গেলেও তিন নেত্র বলার সময় দুটি চোখ খুঁজে পাওয়ার পর আরেকটি চোখ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু দর্শন অনুযায়ী এই তৃতীয় চোখটি হলো জ্ঞানচোখ(vision)।
৪ এ বেদ অর্থাৎ চারটি বেদ, এগুলি হলো রিক ঋক, সাম, যজুঃ ও অথর্ব ।
বেদ হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ। বেদ কথাটির অর্থ হলো জ্ঞান। ইংরজিতে veda শব্দটি এসেছে vidi থেকে যার অর্থ knowledge, এই বেদে রয়েছে ১০২৮টি স্তোত্র। হিন্দু ধর্মমতে বেদ মানুষের রচনা নয় স্বয়ং ঈশ্বরের বাণী। এইজন্য বেদকে "নিত্য ও অপৌরুসেও" বলা হয়। প্রাচীন ঋষিরা ঈশ্বরের বাণী শ্রবণ করেছিলেন বলে বেদের ওপর নাম শ্রুতি।
৫ এ পঞ্চোবান , পঞ্চবান হলেন মদনদেব, কামের অধিস্টাতা দেবতা। এই পাঁচটি বান হলো , সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ, তপন ও স্তম্ভন।
৬ এ ঋতু অর্থাৎ ছয়টি ঋতু , এই ঋতুগুলি হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
৭ এ সমুদ্র অর্থাৎ সাতটি সমুদ্র। এই সাতটি সমুদ্র হলো ভারত মহাসগর, উত্তর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, Arctic ocen and Antarktic ocen( southern)
৮ এ অস্তবসু অর্থাৎ আটজন বসু। এই আটজন বসু হলেন ধর, ধ্রুব, সোম, অনল, অনিল, প্রত্যুষ, প্রভাস ও দ্যু।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই আটজন বসু হলেন দেবতা। ধর্মের ঔরসে এবং দক্ষের কন্যা বসুর গর্ভে এরা জন্মগ্রহণ করেন। অষ্টবসুরা মূলত ইন্দ্রের অনুচর হিসেবে পরিচিত। কথিত আছে একবার বসুগণ বশিষ্ঠের গাভী নন্দিনীকে হরণ করায় বশিষ্টের কোপে গঙ্গার গর্ভে শান্তনুর পূত্ররুপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বসুরা মানুষ রূপ পাওয়ার জন্য গঙ্গার শরনাপন্ন হয়েছিলেন। তাদের অনুরোধে শান্তনুর ঔরসে গঙ্গার গর্ভে একের পর এক জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু জন্ম হওয়ার পরই গঙ্গা তাদের জলে নিক্ষেপ করেন। ফলে তারা মানব জন্ম থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু শান্তনুর বাধায় গঙ্গা অষ্টম পুত্রকে ভাসিয়ে দিতে পারেননি ,কিন্তু তিনি শান্তনুকে ত্যাগ করে স্বর্গে প্রত্যাবর্তন করেন। এই অষ্টম পুত্রই হলেন দ্যু বসু মানুষরূপে যিনি দেবব্রত এবং তিনিই হলেন মহাভারতের ভীষ্ম।
৯ এ নবগ্রহ অর্থাৎ সৌরজগতের নয়টি গ্রহ, এগুলি হলো বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটো।
১০ এ দিক অর্থাৎ দশটি দিক। এই দশটি দিক হলো পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর দক্ষিণ, ঈশান, বায়ু, অগ্নি, নৈ্ঝত, ঊর্ধ্ব ও অধঃ ।
ঈশান - উত্তরপূর্ব।
বায়ু - উত্তরপশ্চিম।
অগ্নি - দক্ষিণপূর্ব।
নৈ্ঝত - দক্ষিনপশ্চিম।
ঊর্ধ্ব - মাথার উপর।
অধঃ - পায়ের তলা।
Thank You for reading those information with great patience.
Best wishes for your Future !!
If you have any quary contuct us.
If you like it Please Share with your friend and let them to know more about it and comment below.
Comments
Post a Comment
If you have any query, comment below